এক্সক্লুসিভমতামত

লি‌বিয়া টু ইটা‌লি যাওয়া ব‌্যক্তির কথা

নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ পরিকল্পনাকারী।
তাঁর উপর ভরসা রাখুন ও ধৈর্য ধারণ করুন। আল্লাহ কোনো পরিবারকে নিরাশ করবেন না। আশা হারাবেন না—ইনশাআল্লাহ তারা সবাই আবার ফিরে আসবে। 🤲

👍 ক্যাম্পে অনেকের সাথে কথা বলে জেনেছি, অনেক সময় রিসিভ হবার ৪-৫ দিন পর অভিবাসীরা ভুমিতে নামানো হয়। যারা বড় শিপে উদ্ধার হয়, তারা প্রায় ৩০০ জন একসাথে ঘাটে আসে। আর বড় শিপে থাকাকালীন যোগাযোগের কোনো সুযোগ থাকে না—যেমন আমাদেরও ছিল না।

➡️ যদি তারা ১২ তারিখে রিসিভ হয়ে থাকে, তবে একটু ধৈর্য ধরুন।

প্রশ্ন: তারা তো ওয়াকি টকি দিয়েও এজেন্ট বা পরিবারে যোগাযোগ করেনি, তাহলে ধৈর্যের কারণ কী?

👉 আসলে ওয়াকি টকি সব জোনে কাজ করে না। আমরাও প্রথমে সিগনাল পাইনি। বহু চেষ্টা করার পর অন্য জায়গায় গিয়ে সিগনাল পেয়ে একবার কল করতে পেরেছিলাম। এরপর আবার অনেকক্ষণ কোনো সিগনাল ছিল না।
স্যাটেলাইট সিগনাল সব সময় কানেক্ট থাকে না—এটা যারা অভিজ্ঞ তারা জানেন।

ভাবুন, কয়েকদিন সমুদ্রে না খেয়ে দুর্বল শরীরে শতবার চেষ্টা করেও হয়তো কল দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এমনও হতে পারে—তারা কল দেওয়ার চেষ্টা করার আগেই রিসিভ শিপ এসে পৌঁছে গেছে।

🚤 আমাদেরকে (১৪-০৮-২৫) ইতালির ভুমি থেকে প্রায় ২০৬ কিমি দূরে ছোট সি-বোট দিয়ে রিসিভ করা হয়েছিল। চার ঘণ্টা সমুদ্রযাত্রার পর আমাদের সিসিলি আনা হয়। এক রাত রাখার পর পরের দিন হোটেলে নিয়ে গিয়ে WiFi দেওয়া হয়, তখন আমরা পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারি।

✅ তাই বড় শিপে যারা উদ্ধার হয়, তাদের ক্ষেত্রে সময়টা একটু বেশি লাগতে পারে। ধরুন ১২ তারিখে রিসিভ হলে ১৬-১৭ তারিখ নাগাদ তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ হওয়ার কথা।

⛔ তবে ১৮ তারিখের পরেও যদি কোনো যোগাযোগ না হয়, তাহলে খোঁজ নেওয়ার প্রথম জায়গা মাল্টা, এরপর লিবিয়ার ত্রিপোলি বা বেংগাজি।
কারণ মাল্টার কাছে থাকলে অনেক সময় তারা লিবিয়ান কোস্টগার্ডের হাতে তুলে দেয়।

❌ দয়া করে কেউ “বোট ডুবে গেছে” এই কথা মুখেও আনবেন না। ফাইবার বোট সহজে ডোবে না। যদি এমন কিছু হতো তবে খবর অনেক আগেই পাওয়া যেত।

✊ গেমে যাওয়ার সময় আমারও ভরসা ছিল যে আল্লাহ আমাদের পৌঁছে দেবেন—এবং তিনি তা করেছেন। আমরা রেকর্ড সময়ে মাত্র ৫৪ ঘণ্টায় ইতালি পৌঁছেছি।
তেমনি বিশ্বাস করি—তারা সবাই ভালো আছে, আল্লাহ তাদের সুস্থ রেখেছেন।

🆘 এই কথাগুলো বললাম শুধু আপনাদের মনোবল বাড়ানোর জন্য। আমি জানি প্রত্যেক পরিবার এখন কতটা কষ্টে আছে। আমার মা-ও আমার খোঁজ না পেয়ে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন।

🤲 তাই বলছি—আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, বেশি বেশি দোয়া করুন। ইনশাআল্লাহ তারা জীবিত আছে এবং আমাদের কাছেই ফিরে আসবে।

আরও পড়ুন
Close
Back to top button