
যেকোনো মুহুর্তে ঢাকার সাথে বরিশাল বিচ্ছিন্ন
গুরত্বপূর্ণ সেতুর ভরসা এখন বালুর বস্তা ! এই জন ও বহুল গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধসের আশঙ্কায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুর নিচের তিনটি গার্ডারের মধ্যে দুটি গার্ডারে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। বরিশাল–ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলাধীন বামরাইল ।
অবস্থার অবনতি ঠেকাতে সড়ক বিভাগ জরুরি ভিত্তিতে সেতুর নিচে বালুর বস্তা ফেলে অস্থায়ীভাবে ঠেকনা দিয়েছে। তবে স্থানীয়দের আশঙ্কা, যে কোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের এই প্রধান সড়ক যোগাযোগ।
এতে মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী শত শত যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ সব যানবাহন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গার্ডার ফাটল আর বালুর বস্তার ভরসায় চলছে যান চলাচল—ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
ঝুঁকি বিবেচনায় সেতুর দুই প্রান্তে গতিরোধ বসানো হয়েছে এবং ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু’ উল্লেখ করে সাইনবোর্ড টাঙিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
স্থানীয়রা জানান, পাকিস্তান আমলে সেতুটি নির্মিত হয়। এরপর আর কোনো সংস্কার হয়নি। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার ভারী যান এই পথে চলছে। তলায় মাটি সরে গিয়ে পাশে বড় গর্ত হয়েছে, এখন ছোট গাড়ি গেলেও সেতু দুলে ওঠে।’
স্থানীয় সূত্র বলছে, পাঁচ দিন আগে সওজ কর্মকর্তারা সেতুটি পরিদর্শন করেন। পরদিনই প্রায় ৪০ জন শ্রমিক নিয়ে শুরু হয় জরুরি সংস্কারকাজ। তারা সেতুর নিচে বালুর বস্তা ফেলে গার্ডারে ঠেকনা দেন।
এতদাঞ্চলের যাত্রী চালক ও পরিবহন মালিকদের দাবি, দ্রুত স্থায়ী সংস্কার না করা হলে বরিশাল,ভোলা,বরগুনা পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ছয় জেলার পুরো দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।




